প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সালমানের সিএনজিতে থাকা দুই ভিকটিম কদমতলী থানাধীন মেরাজনগর এলাকায় ঘুরতে আসলে আসামী সজিব হোসেন @ সাগরসহ অপরাপর ৯-১০ জন আসামীরা মিলে ভিকটিমদের গতিরোধ করে তাদেরকে জোরপূর্বক টেনে হিচড়ে ও মারধর করে উক্ত ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী একটি বাসার নিচতলায় ভিকটিম সালমান ও কাওসারকে আটকে রাখে। অতঃপর অপর কিশোরী ভিকটিম (১৯)কে উক্ত বাসার বাথরুমে নিয়ে গিয়ে আসামী সজিব হোসেন @ সাগরসহ অপরাপর আসামীরা ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক তাকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিম সালমানের বাবা সালাউদ্দিন বাদী হয়ে ডিএমপি ঢাকার কদমতলী থানায় আসামী সজিব হোসেন @ সাগরসহ ০৭ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ২-৩ জন আসামীদের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা রুজু করেন। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে উল্লেখিত ঘটনায় জড়িত আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখিত গণধর্ষণে জড়িত আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে অধিনায়ক র্যাব-১০ বরাবর একটি অধিযাচনপত্র প্রেরণ করেন। উক্ত অধিযাচনপত্রের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উল্লেখিত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ দুপুর আনুমানিক ১৩:৩৫ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর কদমতলী থানাধীন পালপাড় এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে ডিএমপি ঢাকার কদমতলী থানার মামলা নং-০২, তারিখ-০২/১১/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০২০) এর ৯(৩)/৩০ তৎসহ ৩৪১/৩৪২/৩২৩/৩৮৫/৫০৬ দন্ড বিধি ১৮৬০, গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক প্রধান আসামী মোঃ সজিব হোসেন @ সাগর (১৯), পিতা-মোঃ সাইফুল ইসলাম, সাং-পদানিয়া উত্তর দৌলতপুর, থানা-মতলব উত্তর, জেলা-চাঁদপুর’কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।